Sunday 28 September 2014

দেয়াল ঘড়ির মত একঘেয়ে সূরে চলতে থাকা
হৃদপিন্ডটার উচ্ছাস হঠাৎ
টুনটুনির হৃদস্পন্দনের মত তীব্র হয়ে ওঠে।
টহল গাড়ির সাইরেন উদ্দীপিত করে
নিভে আসা আগুনকে
থেমে আসা বিপ্লবকে
স্তিমিত স্ফুলিঙ্গকে।

ওই মাংসাশী প্রাণীগুলোর হিম্মত দেখে আমি অবাক হয়ে যাই!
সমাজটা ভরে গেছে ওৎ পেতে থাকা চিতা,
অন্যের মুখের খাবারে ভাগ বসানো হায়েনা আর
উচ্ছিষ্টের আশায় থাকা শকুনে।

ওদের নখরে লেগে থাকা রক্তে মেশকের তীব্র সুগন্ধি পাই আমি।
সে তীব্র সুগন্ধি আমার মস্তিষ্কের কতক স্নায়ুদের স্থবির করে দেয়।
যেখানে আমার একগাদা স্বপ্ন রাখা ছিল!
যে স্বপ্নে একটা বাধানো ফ্রেম,
রঙের গন্ধওয়ালা ছোট্ট চারদেয়ালের খাঁচা,
খাচায় বন্দী মুখোমুখি চোখগুলোতে প্রেমাসক্ত রঙচ্ছটা।

আমার আঙ্গুলের ফাঁকে খেলা করতে থাকা
 
জোছনাগুলোকে প্রাণপনে চেপে ধরি।
মুষ্টিবদ্ধ হাত আর দৃঢ় চোয়ালে সঞ্চিত ক্রোধ
লাভার ন্যয় ফুটতে থাকে।

প্রয়োজনে আরেকটা বদর প্রান্তর হোক!
নকীবের বজ্র বাহুর দৃঢ় শপথে
শীর্ণ সৈন্যের দেহে আসুক আলীর তাকত।
সফেদ ফুল,সবুজ ফাঙ্গাস,পিচঢালা রাস্তা রঞ্জিত হোক
বিশুদ্ধ খুনের লালে।
ফেরেশতার হলুদ পাগড়িতে লেখা থাক
 
আরো একটি কাংখিত বিজয়।।

১১.১১.১৩
রাত- ৩.২০

No comments:

Post a Comment