কখনো আকাশের আর্তনাদে,
বাতাসের উন্মত্ত অস্থিরতায় মৌন হৃদয় চমকে ওঠে! আকাশটায় আর উদারতা নেই কেন? বাতাসে নেই কেন চীরায়ত শীতলতা? গন্ধরাজের শুভ্রতায় কেন লালের স্পর্শ! মুয়াজ্জিনের কন্ঠে কেন এত ক্লান্তি! কেন মেহগনির কচি পাতাগুলোয় আর মুগ্ধতা নেই? বৃষ্টি ধোয়া কার্ণিশে নেই পুরোনো স্নিগ্ধতা! নিঃস্ব চোখজোড়া কোথাও আর মমতা খুজে পায়না দরাজ কন্ঠে গাওয়া গান শুনে আর মন নেচে ওঠেনা মাটির সোদা গন্ধে প্রাণ ভরেনা আর... আমি মূক, বধির অন্ধ হয়ে গেছি। আমার কবিত্ব মরে গেছে, ভাবালুতা হারিয়ে গেছে আমি আর বিশুদ্ধ বাতাস খুজে পাইনা কোথাও আমার আত্মার অক্সিজেন ফুরিয়ে গেছে কবেই। উফ্! কি বিষাক্ত পৃথিবী! অকুতোভয় কিশোর, আর শীর্ণদেহী বৃদ্ধের প্রবীণ রক্ত ও ধুয়ে দিতে পারেনি এ পংকিল পৃথিবীর পাপ... তাইতো চমকে উঠি! আকাশটা এত ছোট হয়ে আসে কেন? বাতাসে কেন এত দীর্ঘশ্বাস! অবশেষে একদিন..., অবাক চোখে দেখি কতিপয় উন্মাদকে, রাজপথ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে আত্মার অক্সিজেনের খোঁজে! যাদের সিনার সম্মুখে আজরাইল বাতাস অবরুদ্ধ রক্তগরম স্লোগানে..... উন্মাদদের উন্মাদনা বেড়ে যায়, আজরাঈলের চোখে চোখ রেখে হাসে মৃত্যুঞ্জয়ী হাসি। মানবিকতার উর্ধে উঠে কি করে পেলি জান্নাতের খুশবু? ও চোখে খোদার নূরের ঝলকানি যে! তোরা কি হুরেদের মাতাল ছন্দ শুনেছিস?! ঐ শুকনো ঠোঁটের হাঁসিও কেন এতো নির্ভিক! আল্লাহর মেহমানদের অভ্যর্থনায় আজরাঈল কাটায় ব্যস্ত সময় আর আমরা হতভাগারা পড়ে রই এ অসুস্থ্য জমিনে... |
Sunday, 28 September 2014
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment